চোখ ওঠার লক্ষণ ও প্রতিকার মাত্র ১ মিনিটে ? Healtips99pro

চোখ ওঠার লক্ষণ ও প্রতিকার?

বেশির ভাগ মানুষেরই এক না এক সময় চোখের সমস্যা হয়।হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে চোখ ওঠার সমস্যা।এই অবস্থায়, টিস্যু যা আপনার চোখের পাতার পিছনে লাইন করে এবং আপনার স্ক্লেরাকে ঢেকে রাখে। এটি লালভাব, চুলকানি, জ্বলন, ছিঁড়ে যাওয়া, স্রাব বা আপনার চোখে কিছু আছে এমন অনুভূতি হতে পারে।




সব বয়সের মানুষ এটি পেতে পারেন। কারণগুলির মধ্যে রয়েছে সংক্রমণ, রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসা এবং বিরক্তিকর বা অ্যালার্জি। তবে এর জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই। সাময়িক কষ্ট হলেও এটি মারাত্মক নয়। চোখ ওঠা সমস্যা এক-দেড় সপ্তাহের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে চোখ ওঠার সমস্যা দেখা দিলে ফেলে রাখা যাবে না। বরং নিতে হবে যতœ। নয়তো ভোগান্তি বাড়তে পারে।

চোখ ওঠার কারণ:

চোখ ওঠার প্রধান কারণ হতে পারে ভাইরাস। এছাড়া ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণেও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। চোখ ওঠার সমস্যা দেখা দিলে চোখ লাল হয়ে যায়। থাকে ব্যথা ও খচখচে ভাব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাইরাসের কারণেই চোখ ওঠার সমস্যা দেখা দেয়। অপরিষ্কার জীবনযাপনের কারণে এই সমস্যা বেশি হয়। চোখ ওঠার লক্ষণ
* চোখ লাল হয়ে যাওয়া
* ঘুম থেকে ওঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা
* চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা
* আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগা
* সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখা
* চোখ দিয়ে পানি পড়া
* চোখের কোনায় ময়লা জমা
* চোখ ফুলে যাওয়া।


চোখ ওঠার সমস্যায় করণীয়:


1.পানির ঝাপটা দিন
সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখে পরিষ্কার পানির ঝাপটা দিতে হবে। চোখে কোনো ধরনের নোংরা পানি, ধুলোবালি যেন প্রবেশ না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন। চোখ আঠালো হয়ে থাকলে বার বার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। অকারণে চোখে হাত দেওয়া যাবে না।


2.সতর্ক থাকুন
চোখ ওঠা যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ তাই আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে দূরে থাকতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক, তোয়ালে, বিছানাপত্র অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না। সেইসঙ্গে বিরত থাকতে হবে হ্যান্ডশেক বা জড়িয়ে ধরা থেকেও। অপরিষ্কার হাতে চোখ স্পর্শ করবেন না।


3.ড্রপ ব্যবহার
ভাইরাসের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে। সেজন্য দিনে তিন-থেকে চারবার চোখের ড্রপ ব্যভহার করতে পারেন। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ না হলেও সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য ড্রপ ব্যবহার করা যায়। চোখে চুলকানি থাকলে সেজন্য ওষুধ সেবন করতে হতে পারে। তবে সবটাই করবেন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে। নিজ থেকে কোনো ড্রপ বা ওষুধ ব্যবহার করবেন না। এতে উপকারের বদলে ক্ষতি বেশি হতে পারে।

4.সানগ্লাস ব্যবহার করুন
আপনার চোখ আক্রান্ত হলে সেখান থেকে আরও অনেকের আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। তাই চোখ ওঠার সমস্যা দেখা দিলে সম্ভব হলে বাড়িতে থাকুন। যদি বাইরে বের হতে হয় তবে অবশ্যই সানগ্লাস পরে বের হবেন। এটি আপনাকেও সুরক্ষিত রাখবে। রোদের কারণে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।



আপনি যদি সবকিছু ঠিকঠাক করেন এবং এখনও আপনার পরিচিতিতে সমস্যা থাকে তবে আপনার চোখের ডাক্তারকে দেখুন। আপনার অ্যালার্জি থাকতে পারে , চোখ শুষ্ক হতে পারে বা চশমা ব্যবহার করলে ভালো হতে পারে। সমস্যাটি কী তা একবার আপনি জানলে, আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল কি।


Related searches:

চোখ ওঠার ড্রপ,চোখ ওঠার ঔষধ,চোখ ওঠার লক্ষণ,চোখ ওঠার দোয়া,চোখ উঠা করনীয়,চোখ ওঠার ঘরোয়া চিকিৎসা,চোখ ওঠার লক্ষণ ও প্রতিকার,চোখ ওঠা english.

Also Follow: LivehealthUK.com

Post a Comment

0 Comments